Kidney Diseases & Fasting - কিডনি রোগ এবং রোযা.

Shohag post-image

কিডনি রোগ এবং রোযা.

🕋 কিডনি রোগী বিশেষ করে ক্রনিক কিডনি রোগের অ্যাডভান্স স্টেজ,ডায়ালাইসিস এবং ট্রান্সপ্লান্ট রেসিপিয়েন্ট রোযা রাখা উচিত না,কিডনি রোগের যেকোনো অবস্থায় রোযা রাখার ব্যাপারে আগে ডাক্তার এর সাথে কথা বলে ডিসিশন নিতে হবে।কিডনি রোগের প্রথম স্টেজ বা দ্বিতীয় স্টেজে যদি রাখতে চান সেটা আপনার নেফ্রোলজিস্ট এর অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে বা রাখা উচিত।

কিডনি রোগের স্টেজ সম্পর্কে বোঝার সুবিধার্থে উপরের চার্টটি খেয়াল করুন যা কিডনি রোগের স্তর বা স্টেজ ইন্ডিকেট করে.

ক্রনিক কিডনি রোগী-

🍀 স্টেজ ১ এবং ২ :-নেফ্রোলজিস্ট এর পরামর্শে রোজা রাখতে পারেন।

🍀 স্টেজ ৩, বিশেষ করে স্টেজ ৩(বি), ৪, ৫ এবং ডায়ালাইসিস :-রোজা রাখা সাধারণত উচিত হবে না,ডাক্তার এর close মনিটর এ থাকতে হবে। ক্লিয়ারেন্স অবশ্যই নেফ্রোলজিস্ট এর কাছে থেকে নিবেন রোজার ব্যাপারে।রোজা যদি রাখেনও তিন দিন বা পাঁচদিন পর কিডনি ফাঙ্কশন টেস্ট করা উচিত হবে।

🚩🚩 রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট/কিডনি প্রতিস্থাপন :-রোজা রাখা সাধারণত উচিত হবে না যদিও কিডনি প্রতিস্থাপিত ব্যাক্তির রোজা রাখার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুক্ষেত্রে নেফ্রোলজিস্ট থেকে নেফ্রোলজিস্ট ভিন্নতা পাওয়া যায় তাই রোজা রাখার ব্যাপারে কঠিনভাবে নেফ্রোলজিস্টের সিদ্ধান্ত জরুরি প্রয়োজনে একাধিক নেফ্রোলজিস্টের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যেহেতু কিডনী প্রতিস্থাপিত ব্যাক্তির ক্ষেত্রে প্রত্যহ ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ওষুধ সঠিক সময়ে খেতে হয় এবং পানি শুন্যতা প্রতিরোধও জরুরি।

**মেডিসিন এডজাস্ট এর ব্যাপারে ১০০% ভাগ নেফ্রোলোজিস্ট এর পরামর্শ মানতে হবে।

মনে রাখবেন ইসলাম অনেক সাইন্টিফিক ,আপনি অক্ষম হলে বা শরীরে ক্ষতির সম্ভাবনা হলে অথবা আপনি রোযা না রাখতে পারলেও সম্পূর্ণ রোজার সওয়াব এর ব্যবস্থা আল্লাহই আপনার জন্য করে দিয়েছে।

এখানে Dehydration, Electrolytes ইমব্যালেন্স, Creatinine বৃদ্ধি থেকে শুরু বড় ক্ষতি হতে পারে যেটা ইসলাম কোনো ভাবেই নিজের ক্ষতি করা সমর্থন করে না।

যে ব্যক্তির রোগ সাময়িক, যা সেরে যাওয়ার আশা আছে সেক্ষেত্রে সুস্থতার পরে যেগুলো তার মিস হয়েছিল সেগুলো কাজা আদায় করবেন।

রোযা রাখলে রোযা তার ক্ষতি করবে। (রোগ বৃদ্ধি করবে, অথবা কোন বড় রোগ আনয়ন করবে, অথবা তার অবস্থা মরণাপন্ন হয়ে যাবে।) এমতাবস্থায় তার জন্য রোযা রাখা হারাম। কেননা, নিজের উপর ক্ষতি ডেকে আনা বৈধ নয়। মহান আল্লাহ বলেন,

‎{وَلاَ تَقْتُلُوْا أَنْفُسَكُمْ، إِنَّ اللهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْماً}

অর্থাৎ, তোমরা আত্মহত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াশীল। (কুরআনুল কারীম ৪/২৯)

তিনি আরো বলেন,

‎{وَلاَ تُلْقُوْا بِأَيْدِيْكُمْ إِلَى التَّهْلُكَة}

অর্থাৎ, তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না। (কুরআনুল কারীম ২/১৯৫)

হাদীসে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘কেউ নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং অপরেরও ক্ষতি করবে না।’’[8]

রোযা রোযাদারকে ক্ষতি করছে কি না তা জানা যাবে, রোযাদারের নিজে নিজে ক্ষতি অনুভব করার মাধ্যমে অথবা বিশ্বস্ত কোন ডাক্তারের ফায়সালা অনুযায়ী।

এই শ্রেণীর রোগী যে দিনের রোযা ত্যাগ করবে, সেই দিনের রোযা পরবর্তীতে সুস্থ হলে অবশ্যই কাযা করবে। আর এমন রোগীর তরফ থেকে মিসকীনকে খাদ্যদান যথেষ্ট নয়।[9]

[8] (আহমাদ, মুসনাদ, ইবনে মাজাহ, হাকেম, মুস্তাদ্রাক, বাইহাকী, দারাকুত্বনী, সুনান, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৫০নং)

[9] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৩৩৬-৩৩৮, ফুসূলুন ফিস্-সিয়ামি অত্-তারাবীহি অয্-যাকাহ ৯-১০পৃঃ)।

কি কারণে রোজার কাফফারা দিতে হয়?

রোজার কাযা আদায় করতে হয়?

রোজার ফিদইয়া দিতে হয়?

উত্তরঃ

১) যে কারণে কাফফারা দিতে হয়ঃ

কাফফারা শুধু একটি মাত্র কারণেই দিতে হয়। সেটি শুধু রোজা অবস্থায় স্ত্রীর সাথে দৈহিক মিলন করলেই দিতে হয়। এমন কাজ কেউ করলে তার কাফফারা হল- হয় একটি রোজার পরিবর্তে ৬০ টি রোজা রাখতে হবে, অথবা ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়াতে হবে, অথবা ৬০ টি গোলাম আজাদ করতে হবে।

২) যে কারণে কাযা আদায় করতে হয়ঃ

যদি কেউ অসুস্থতা, মুসাফির, মহিলাদের পিরিয়ড বা কোন দুগ্ধপোষ্য বাচ্চার মা যদি রোজার কারণে বাচ্চার দুধ পাওয়া নাযায় ইত্যাদি কারণ থাকে তাহলে রোজা ছেড়ে দেয়া জায়েয। অর্থাৎ উপরোক্ত কারণে রোজা ছেড়ে দেয়া জায়েয। এবং এসব কারণে যেকটি রোজা ছেড়ে দিবে তা পরে অন্য কোন মাসে কাযা করে নিলেই চলবে ইন-শাল্লাহ।

৩) যে কারণে ফিদইয়া দিতে হয়ঃ

যদি কোন ব্যক্তি স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয় অর্থাৎ তার আর ভাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এবং উক্ত অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পারেনা, তাহলে তার জন্য ফিদইয়া আদায় করতে হবে। প্রত্যেকদিন হিসেব করে একটি রোজার জন্য একজন মিসকিনকে দেড় বা ১.৫ কেজি চাল দান করে দিতে হবে। প্রতিটি রোজার জন্য প্রতিদিন হিসেব করে দিয়ে দিতে হবে।

ক্রনিক কিডনি রোগের ক্ষেত্রে আগেও বলেছি এখনো বলছি,যারা প্রথম স্টেজ বা দ্বিতীয় স্টেজ এর ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছেন তারা অনেকটাই সুস্থ থাকেন এবং বিন্দু মাত্র লক্ষণও বুঝতে পারেনা,তারা নেফ্রোলজিস্ট এর পরামর্শে সিদ্ধান্ত নিবেন রোজা রাখবেন কি না রাখবেন কারণ অনলাইন এ আপনার শরীরের আসলঅবস্থা কি বা আদৌ অন্য কোনো আরো সমস্যা আছেই কিনা এগুলা বোঝা সম্ভব না।তাই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে Nephrologist এর সিদ্ধান্তই আসল কারণ উনি আপনার আসল অবস্থা জানেন এবং তার সাথে কথা বলে নিবেন।

ⒸBKPA

Caution:
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
সতর্কতাঃ
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।