ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন/কালচার/এন্টিবায়োটিক্স খাওয়ার নিয়ম- Antibiotics

post-image

ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন/কালচার/এন্টিবায়োটিক্স খাওয়ার নিয়ম- Antibiotics

কিছুটা দীর্ঘ এবং গুরুত্বপূর্ণ,মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ করছি।

⚡️রিপোর্ট এনালাইসিস -লেখার শেষে⚡️

🌈 ইনফেকশন এর বাংলা হলো সংক্রমণ। ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা সংক্রমণ কে বলা হয় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ বা ইনফেকশন । এই খারাপ ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরের ভিতর থাকার কথা না কিন্তু এটা আপনার শরীরে ঢুকেছে অন্য কোনো সংক্রামিত মানুষের মাধ্যমে যে আগে থেকেই এফেক্টেড ছিল বা খাবারেই মাধ্যমে বা পানির মাধ্যমে যেখানে আগে থেকেই খারাপ ব্যাকটেরিয়া ছিল ইত্যাদি। মোদ্দা কথা হলো ব্যাকটেরিয়া একধরণে জীব যা হানা দেয় এবং আপনার অসুস্থতা তৈরী করে। আরেকটা কথা,খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যাকটেরিয়াও কিন্তু আছে যেমন দই এ প্রোবায়োটিক্স থাকে ওই ব্যাকটেরিয়া গুলো ভালো ব্যাকটেরিয়া.

⚡️ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এটাক করতে পারে যেমন:ব্লাডার,স্কিন,লাং,ব্রেন ইত্যাদি। ব্যাকটেরিয়া এটাক করলে বিভিন্ন ধরণের সিম্পটম আসতে পারে ইন জেনারেল জ্বর,দুর্বলতা ইত্যাদি।আবার অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে লোকাল এটাক/আক্রমণ এর কারণে শরীরের কোনো লোকাল জায়গায় ইফেক্ট ফেলতে পারে যেমন স্কিন এ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমনিতো হলে ওই জায়গায় লাল বর্ণ বা ফুলে যাওয়া বা ব্যাথা অনুভব হতে পারে। আবার লাং এ ইনফেকশন হলে প্রোডাকটিভ কফ হতে পারে বা শ্বাস নিতে চাপ চাপ বা ব্যাথা অনুভব হতে পারে, ইত্যাদি।

এই ব্যাকটেরিয়া গুলা আবার বিভিন্ন নামের এবং ধরণের হয়ে থাকে ,আবার এটাক এর জন্য যেখানে তার স্প্রেড বা এটাক করা সুবিধা সেই জায়গা গুলা বেঁছে নেয় যেমন -

**🦠E .Coli-**এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্রাক্ট এ ডিস্ট্রেস তৈরী করে এটা নিজে নিজে resolve হয় তবে মাঝে মাঝে ফ্যাটাল বা সিভিয়ার আকার ধারণ করে ।এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত ছড়ায় বা ছড়াতে পারে খাবার বা রান্না না করা সবজি বা সালাত এর মাধ্যমে।

🦠Streptococcus pneumoniae এবং

**Mycobacterium tuberculosis bacteria- এই ব্যাকটেরিয়া লাং বা শ্বাসতন্ত্রে এটাক করে যা Tuberculosis বা ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার কারণ ।এগুলো সাধারণত ছড়ায় ইনফেক্টেড মানুষের হাঁচি কাশির এয়ার পার্টিক্যাল এর মাধ্যমে ।

**🦠Bacterial vaginosis-**এর মাধ্যমে মেয়েরা সংক্রমনিতো হয়।

ইত্যাদি এরকম আরো ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলোর দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।

Diagnosis : - আপনার ডাক্তার প্যাটার্ন ,সিম্পটম,সিভিয়ারিটি ,টেস্ট ইত্যাদির উপর ডিপেন্ড করে ডায়াগনসিস করবে আপনি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন কিনা।

🌈 কালচার টেস্ট এবং এন্টিবাযোটিক্স :-

ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে আছে কিনা সেটা নির্ধারণের জন্য সর্বাধিক এবং নির্ভরযোগ্য টেস্টের নাম হলো কালচার, এটার মাধ্যমে আপনি কোন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন সেটার নাম এবং ওটাকে ধ্বংস করার জন্য কোন এন্টিবাযোটিক্স কাজ করবে সেটির নাম উঠে আসে। 🚩 এই টেস্টটি করতে স্যাম্পল দেওয়ার পর তিন দিন বা ৭২ ঘন্টা পর রিপোর্ট ডেলিভারি দেয় সাধারণত।

⚡️এছাড়াও আপনার সিম্পটম এর উপর ডিপেন্ড করে এই Blood কালচার বা অন্য কোনো ফ্লুইড আগে প্রিলিমিনারী কিছু টেস্ট করতে দিতে পারে যেমন জ্বর থাকলে বা দুর্বলতা দেখলে cbc with ESR এই টেস্ট এর মাধ্যমে আপনার white Blood cell কাউন্ট বের হয়ে আসবে এটা বাড়তি থাকলে সাধারণত বুঝায় আপনার শরীরে ইনফেকশন থাকতে পারে ,কারণ সাধারণত ইনফেকশন এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য wbc বাড়তি হয় এটা উদহারণ হিসেবে বললাম আরো বেশ কিছু ইন্ডিকেশন আছেই যেগুলো আপনার ডাক্তার বিবেচনায় আনতে পারে এবং রক্ত কালচার করার জন্য ল্যাব এ পাঠাতে পারে।

⚡️আবার ধরেন আপনার মূত্রে জ্বালাপোড়া হচ্ছে তখন কালচার করার আগে urin,routin microscopic exam /rme করতে দিলো এবং সেখানে ইন্ডিকেশন যদি আসে আপনার puscell বেশি বা epithelial সেল বেশি বা red blood cell যাচ্ছে বর্ডার লাইন এর বেশি তখন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন চিহ্নিত বা আছে কিনা কন্ফার্ম করার জন্য urine স্যাম্পল কালচার এ পাঠাতে পারে ।

✳✅🚩ইউরিন কালচার স্যাম্পল দেওয়ার সময় মেয়েদের অবশ্য যে বিষয় খেয়াল রাখা উচিত🚩✅✳

🎗মেয়েদের জেনিটাল অর্গান বায়োলজিক্যাল বা গঠনগত কারণে ছেলেদের থেকে আলাদা হয় তাই ছেলেদের ইউরিন স্যাম্পল দেওয়ার সময় ইউরিন কন্টামিনেশন হওয়ার চান্স খুব কম থাকে কিন্তু মেয়েদের জেনিটাল অর্গান পাশাপাশি থাকাতে ইউরিন পাস্ বা স্যাম্পল দেওয়ার সময় অসাবধাণতার কারণে স্কিন ব্যাকটেরিয়া বা ইন্টেস্টাইনাল পেটের ব্যাকটেরিয়া ইউরিন টিউব বা জারে চলে আসতে পারে তখন ফলস রিপোর্ট আসতে পারে কালচারে তাই 🚩ল্যাব ইন্সট্রাকশন্স ফলো করবেন এবং মিড্ স্ট্রিম ইউরিন অর্থাৎ ইউরিনের শুরুতে এবং শেষের মাঝের ইউরিন যেটায় ফোর্স বেশি থাকে (মনে রাখবেন শুরু এবং শেষের সময়ের ইউরিনে ফোর্স কম থাকে তাই স্কিনে লেগে ইউরিন স্যাম্পল টিউবে পড়ার চান্স থাকে) এবং আশপাশে স্কিনের লাগার চান্স কম থাকে বা থাকেনা তখন সেটা স্যাম্পল টিউবে দেওয়া উচিত একইসাথে ইউরিন স্যাম্পল যাতে কন্টামিনেশন না হয় অর্থাৎ ইউরিন করার সময় যাতে আশেপাশে লেগে যাতে স্যাম্পল টিউব বা জারে না পরে সেজন্য আসেপাশে ভালো করে ব্যাকটেরিয়াল ওয়েট ওয়াইপ বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার বা সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ড্রাই বা শুকনা টিস্যু দিয়ে মুছে নেওয়া উচিত.

⚡️আবার ধরুন কাশি হচ্ছে ,যে কাশি দেখতে হলুদ যাকে আমরা বলি পাকা কাশি ,আপনার ওই কফ/sputum কালচার করতে পাঠাতে পারে দেখতে যে কোনো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন কিনা এবং কোন এন্টিবাযোটিক্স কাজে দিবে। আবার কালচার এর সাথে চেস্ট বা বুকের x ray করতে দিয়ে দেখতে পারে যে lung এর অবস্থা কি বা Congestione আছে কিনা।

⚡️আবার গলায় ব্যাথা থাকলে গলার ভিতর থেকে Throat swab নিয়ে কালচার করে দেখতে পারে গলায় ব্যাথা হওয়ার জন্য কোনো ব্যাকটেরিয়া দায়ী কিনা।তেমনি শরীরে কোনো ফোড়া বা পুঁজ হলেও ওখান থেকে কালেকশন নিয়ে কালচার করতে পারে।ইত্যাদি

🔥 এন্টিবাযোটিক্স খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি : আমরা প্রায় সময় একটু ঠান্ডা জ্বর হলেই এন্টিবাযোটিক্স এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি বা ওষুধের দোকান থেকে এজিথ্রোমাইসিন বা সিপ্রোফ্লোক্সাসিন কিনে খাওয়া শুরু করি যেটা আসলে কখনোই উচিত না বা খেলেও ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত না। কালচার টেস্ট ছাড়া আন্দাজে Antibiotics খাওয়া একটি অনুচিত কাজ কারণ আপনি যে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন সেই ব্যাকটেরিয়া যে এন্টিবাযোটিক্স মারতে পারবে সেটা কালচার টেস্ট মাধ্যম ছাড়া বোঝা যায় না .

ধরুন আপনার কাশি হলো,আপনি করলেন কি ডাক্তার এর সাথে কথা না বলে অনুমানের উপর নির্ভর করে এন্টিবাযোটিক্স খাওয়া শুরু করলেন ,এখন আপনি যে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন, সেই ব্যাকটেরিয়া আপনার ওই এন্টিবাযোটিক্স এর চেয়ে শক্তিশালী বা আপনি যে এন্টিবাযোটিক্স খাচ্ছেন সেটি ওই ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের শক্তি নাই বা রেজিস্টেন্স তখন আপনার আর ওই এন্টিবাযোটিক্স কাজ করতে পারবেনা বা সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে যেটা অনেক বেশি ক্ষতিকর।

আবার অনেক সময় দেখা গেলো যে যেই এন্টিবাযোটিক্স খাচ্ছেন ওই এন্টিবাযোটিক্স কালচার এ সেনসিটিভ আসলো অর্থাৎ আন্দাজে কমন পরে গেছে বা ঝরে বক মরছে।

যেকোনো ইনফেকশন এ উচিত কালচার করে এন্টিবাযোটিক্স খাওয়া আবার এন্টিবাযোটিক্স এর Dosage শেষ করে চেক করা ওই ব্যাকটেরিয়া একবারে ধ্বংস হয়েছে কিনা ।

আমাদের দেশের ডাক্তাররা যদি কালচার বারবার করাতে দেয় Antibiotics খাওয়ার আগে আবার Antibiotics খাওয়ার ডোজ শেষ হওয়ার পর দেখতে যে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়েছে কিনা তাহলে রোগীরা ডাক্তারদেড় খারাপ ভাবতে পারে ,যে কথায় কথায় টেস্ট এর নামে টাকা খাওয়ার ফন্দি। তাই আমাদের দেশের ডাক্তাররা ইন জেনারেল কিছু এন্টিবাযোটিক্স অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও prescribe করতে বাধ্য হন,গড়বাধা।

হাঁ অনেক সময় কালচারে ব্যাকটেরিয়া গ্রোথ না পাওয়া গেলেও নেফ্রোলজিস্ট / ডাক্তার এন্টিবাযোটিক্স এর ব্যাকআপ দিতে পারে তাকে সেফ সাইডে রাখার জন্য এটা ট্রান্সপ্লান্ট Nephrologist এর এক্সপেরিয়েন্স এবং প্রাকটিস এর উপরও ডিপেন্ড করে, সেটা আলাদা কথা। আবার অনেক সিভিয়ার ক্ষেত্রে বা icu রোগীকে পাওয়ারফুল এন্টিবাযোটিক্স চালু করতে হয় তাৎক্ষণিক ,সেগুলো ভিন্ন কথা বা এক্সেপশন। তাই সঠিক উপায় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ নির্মূল করার জন্য কালচার এর মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক খুঁজে চিকিৎসা নেওয়া উচিত, এটাই সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য গাইডলাইন |

●•● ক্রনিক কিডনি রোগীর ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ বা নির্মূল এর উপায় : ক্রনিক কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে ইনফেকশন কন্ট্রোল এর কোনো বিকল্প নাই।ক্রনিক কিডনি রোগীর এর ক্ষেত্রে যদি কোনো ধরণের শারীরিক Abnormality দেখার সাথে সাথে নেফ্রোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হবেন, জ্বর বা শারীরিক দুর্বলতা দেখলে ওনারা cbc বা ইউরিন এর রুটিন রিপোর্ট দেখে বা শরীরের যেখানকার ইনফেকশন হয়েছে সেখানকার স্যাম্পল কালচার এ পাঠাতে পারে .

Nephrologist, ইনফেকশন এর ধরণ অনুযায়ি স্যাম্পল কালেক্ট করে কালচার করতে পাঠাবেন (example:অর্থাৎ যদি কাশি দেখেন তাহলে কফ কালচার এ পাঠাবেন আবার রক্ত কালচার এ পাঠাতে পারেন একই সাথে ) তারপর সে অনুযায়ি রিপোর্ট দেখে কিডনি সেফ Antibiotics দিবেন বা creatinine ক্লিয়ারেন্স দেখে বিশেষ করে শেষ স্টেজ এর রোগীদের Dosage অ্যাডজাস্টমেন্ট করবেন এবং কতদিন খেতে হবে সেটা নির্ধারণ করবেন।ডায়ালাইসিস রোগীদের ক্ষেত্রে একই রকম করবেন ,যারা ক্যাথেটার দিয়ে ডায়ালাইসিস করেন অনেক সময় ক্যাথেটার ও কালচার করতে পাঠান কারণ ক্যাথেটার এর মাধ্যমেও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হতে পারে।**একটা জিনিস মনে রাখবেন সঠিক এন্টিবাযোটিক্স এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া না মারলে creatinine দ্রুত বেড়ে যাবে যেখান থেকে সেপ্টেসেমিয়া বা সারা শরীরে ইনফেকশন ছড়াইয়া যেতে পারে যেটা মারাত্মক।

💦☔️কিডনি প্রতিস্থাপন রেসিপিয়েন্টদের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এবং প্রতিকার :

এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ,মনে রাখবেন কিডনি প্রতিস্থাপনকারীদের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এর জন্য সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হয় তাই আপনি শরীরে কোনো ধরণের জ্বর,দুর্বলতা ,চামড়ায় কোনো ঘাঁ,পুঁজ বা মূত্রে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দেখা মাত্রই ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হতে হবে ।কিডনি রোগীরা যেহেতু ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ওষুধ খায় তাই তাদের সংক্রমণ সাথে সাথে রোধ করার জন্য কালচার টেস্ট এবং অন্নান্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক এন্টিবাযোটিক্স গ্রহণ এর মাধ্যমে infection নির্মূল এর কোনো বিকল্প নাই। আর তা না হলে অর্থাৎ ইনফেকশন পুষে রাখলে গ্র্যাফ্ট কিডনি তে খারাপ ইফেক্ট পড়বে এবং কিডনি ফাঙ্কশন ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

💦💦পৃথিবীর ভালো ভালো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট গুলো সবসময় দ্রুত ইনফেকশন Identify করার জন্য কালচার করে এবং তার সংশ্লিষ্ট টেস্ট গুলো করে, এতবেশি সতর্কতার কারণে তাই তাদের এভারেজ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সাকসেস রেট এখন ১৫ থেকে ২০ বছর।

আর বাংলাদেশে এমন ট্রান্সপ্লান্ট রেসিপিয়েন্ট আছে পাতলা পায়খানা বা মূত্রে জ্বালাপোড়া করলে ডাক্তার এর কাছেই যেতে চায় ১৫ দিন পর ততদিনে ট্রান্সপ্লান্ট কিডনির অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। আবার Immunosuppressive খাওয়ার কারণে ইমিউনিটি কম থাকে তাই দ্রুত ইনফেকশন কন্ট্রোল করা উচিত তা না হলে গ্র্যাফ্ট লস থেকে শুরু করে ভয়ঙ্কর septicaemia পর্যন্ত হতে পারে। তাই কোনো Abnormality শরীরে দেখলেই nephrologist এর শরণাপন্ন এবং টেস্ট এর কোনো বিকল্প নাই আপনি যত ভালোই থাকেন না কেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনেক সময় এন্টিবাযোটিক্স নিজে নিজে শুরু করলেন কিন্তু কাজ করছে না এখন আপনি যদি ফ্লুইড স্যাম্পল কালচার করতে দেন এন্টিবাযোটিক্স খাওয়া অবস্থায় তাহলে রিপোর্ট সঠিক আসবেনা । তখন আপনার নেফ্রোলজিস্ট ৪৮ ঘন্টা বা ৭২ ঘন্টা ওই এন্টিবাযোটিক্স বন্ধ করে কালচার করতে দিবেন ,এটাই নিয়ম সঠিক রিপোর্ট আসার।

🔥🔥🔥রিপোর্ট এনালাইসিস 🔥🔥🔥

-খেয়াল করুন এটা sputam/কফ কালচার রিপোর্ট।

এখানে কালচার রিপোর্টে দেখুন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার নাম কমলা রং দিয়ে মার্ক করা যার নাম - Staphylococcus aureus, এখন এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এর জন্য দায়ী। এখন এই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য যে এন্টিবাযোটিক্স /গুলি বারুদ লাগবে সেটার নাম এর লিস্ট নীল কালী দিয়ে মার্ক করা ,এখন এখানে বিভিন্ন এন্টিবাযোটিক্স এর নাম আছে কোনোটার পাশে S লেখা আবার কোনোটার পাশে R লেখা। S মানে সেনসিটিভ অর্থাৎ ওই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে যে এন্টিবাযোটিক্সগুলোর নামের পাশে S লেখা ওগুলো ধ্বংস করতে পারবে কিন্তু যে এন্টিবাযোটিক্সগুলোর নামের পাশে R লেখা মানে Resistance অর্থাৎ মারার শক্তি নাই। এখন আমি কালচার না করলে জানতে পারবো না যে ওটা কোনো কাজই করবে না। এটা আমি না জেনে খেতে থাকলে ব্যাকটেরিয়া মরবেও না আবার আপনার ইনফেকশন দীর্ঘায়িত হতে থাকবে যা ক্ষতিকর।

এখন এই Antibiotics গুলোর মধ্যে যেগুলো সেন্সিটিভি এগুলোর ভিতর Nephrologist যেটা কিডনি সেফ বা নিরাপদ মনে করবেন সেটা নির্ধারণ করবেন এবং সংক্রমণ এর মাত্রা এবং আপনার কিডনি ফাঙ্কশন কেমন তা নির্ধারণ করে সঠিক মাত্রার এন্টিবায়োটিকসের ডোজ সাজেস্ট এবং মাত্রা নির্ধারণ করবে এবং নিয়ম হচ্ছে ওষুধ এর Dosage শেষ হওয়ার পর সেই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়েছে কিনা তা পুনরায় কালচার করে দেখবে।

মনে রাখবেন কিছু গ্রুপ এর এন্টিবাযোটিক্স আছে যা কিডনী রোগের জন্য নিরাপদ না তাই নেফ্রোলজিস্ট আপনার কিডনির জন্য যেটা নিরাপদ সেটি নির্ধারণ করবেন ।

ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

ⒸBKPA

Caution:
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
সতর্কতাঃ
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।