🎗🎗ডায়াবেটিস ও নিয়ন্ত্রণ: আপনি যত চিকিৎসাই করুন না কেন ডায়াবেটিস এর মূল চিকিৎসা কিন্তু প্রথমতো জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ, যেটা আপনি যখন বিপদে পড়েন তখন বেশ কিছুদিন সচেতন থাকেন তারপর আবার সেই আগের অবস্থায় চলে যান। মুখ সামাল যদি দিতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অনেকাংশে সহজ হয়ে পরে।
***কঠোর হন,মিষ্টি জাতীয় খাবার একদম বন্ধ করে দিন এবং কার্বোহাইড্রেট একেবারে অল্প খাবেন,যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা ডায়েটেশিয়ান এর সাথে কথা বলে ভাত একেবারে পরিমিত খাবেন বা যতটুকু না হলেই নয়, কিডনি উপকারী সবজি বেশি খান, প্রোটিন শরীরের চাহিদা অনুযায়ি খাবেন। ফাইবার যুক্ত খাবার খান যেমন-লাল আটার রুটি বেছে নিন, আবার না খেয়ে থাকা যাবে না তাহলে কিন্তু হাইপোগ্লাইসিমিয়া হয়ে বড়ো ক্ষতির কারণ হতে পারে, যে খাবারগুলো সুগার হাই করে দেয় সেগুলো একেবারে পরিমিত খাওয়া। ♦️ভাত প্রধান শত্রু,ভাত কম খেলে অন্যান্য খাবার বা তরকারি অটোমেটিক খাওয়া কমে আসে তখন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে আর ভাত খাওয়ার সাথে সাথে দেখবেন সব তরকারি খাওয়া বেড়ে যায়, তাই বলবো ভাত একেবারে কমিয়ে খান ,শুধু তরকারি বেশিক্ষণ খেতে পারবেন না।
✅ Post Renal Transplant/পোস্টট্রান্সপ্লান্ট রেসিপিয়েন্টদেড় ক্ষেত্রে ইম্মুনোসাপ্রেসিভ(steroid,Tacrolimus,Mycophenolate etc) খেতে হয় এই ইম্মুনোসাপ্রেসিভ গুলো কিডনি রিজেকশন প্রতিরোধ করে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই ওষুধগুলোর সাইডএফেক্টের কারণে অনেক সময় রক্তে সুগার বেড়ে যায় যাকে ড্র্যাগ ইনডিউসড ডায়াবেটিস বলে যেটা খুব তীক্ষ্ণ নজরে রাখতে হবে। প্রথমদিকে Immunosuppresive ড্র্যাগ বেশি মাত্রায় চলে তাই এই ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ওষুধগুলোর কারণে যার কখনো ডায়াবেটিকস ছিল না বা বাড়তি সুগার ছিলোনা তারও হুট্ করে Blood Sugar level জাম্প করতে পারে তাই সুগার জাতীয় খাবার এ রেস্ট্রিকশন আনা উচিত, যদি কঠোর নিয়ন্ত্রণ করার পর তা কন্ট্রোল এ না আসে তখন Endocrinologist এর সাথে পরামর্শ করে ওষুধ বা অল্পমাত্রায় ইন্সুলিন/ইন্সুলিন নিয়ে কন্ট্রোল করা উচিত। আরেকটা কথা আমরা যে কার্বস জাতীয় খাবার খাই যেমন ভাত, রুটি ইত্যাদি এগুলো কিন্তু সুগারেই শেষ পর্যন্ত রূপান্তরিত হয়ে যায় তাই সুগার এর সাথে সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয়ও খাবার কম বা সামান্য খাওয়া উচিত।যাদের ডায়াবেটিস এর কারণেই কিডনি রোগ তারা খাবার কন্ট্রোল,ওষুধ বা ইন্সুলিন অ্যাডজাস্টমেন্ট এবং এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।বাসায় সবসমই ডায়াবেটিস চেক করার নির্ভরযোগ্য মেশিন রাখেন যেটার স্ট্রিপ সবসমই পাবেন যেমন:-Accucheck etc।
💥 ডায়াবেটিস মাপার নিয়ম হলো সকালে ফাস্টিং চেক করা এবং নাস্তা খাওয়ার দুই ঘন্টা পর আবার চেক করা,দুপুরে খাওয়ার আগে চেক করা এবং খাওয়ার দুই ঘন্টা পর চেক করা আবার রাতের খাওয়ার আগে চেক করা এবং দুই ঘন্টা পরে আবার চেক করা।এরকম চার্ট করে সেগুলো লেখে রাখবেন এবং তিনদিন পর চার্ট সহ ডাক্তার এর কাছে যাবেন,সেই চার্ট অনুযায়ী ডাক্তার এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা ওষুধ দেওয়া অনেক সোজা হয়ে পরে। ডাক্তার আপনাকে ডায়েটিশান এর কাছে পাঠাতে এবং হাঁটার কথা বলতে পারে আবার ওষুধ বা ইন্সুলিন চালু করতে পারে,আপনি ডাক্তার এর এডভাইস মতো চলে আবার একই ভাবে তিন বেলা মেপে দেখবেন কতটুকু পরিবর্তন হচ্ছে তখন সেই অনুযায়ী ডাক্তারএর আবারো ব্যবস্থা গ্রহণ অনেক সুবিধা হবে। 🔸️HBA1C টেস্ট করতে পারেন তিনমাস পরপর,এই টেস্ট এর মাধ্যমে বোঝা যায় আপনার গত তিন মাসে ব্লাড সুগার এর গড় কত ছিলএবং ডাক্তার এর সাথে কনসাল্ট করুন।♦️ডায়াবেটিস এর অবস্থা ভালোভাবে জানতে **GTT (Glucose Tolerance Test)**করতে পারেন বা করা উচিত .♦️♦️তবে আসল কথা জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ এবং দুইবার ৪৫ মিনিট করে হাটা বা অন্ততত দিনে কমপক্ষে একঘন্টা হাঁটার চে ভালো চিকিৎসা আর নেই।নিচে চার্ট দেওয়া হলো,কত রাখতে হবে সুগার তা বোঝার জন্য-
BLOOD SUGAR CHART——💁♂️ Fasting sugar Normal for person without diabetes 70–99 mg/dl (3.9–5.5 mmol/L) **Recommendation for someone with diabetes : 80–130 mg/dl (4.4–7.2 mmol/L)
💁♂️ 2 hours after meals - Normal for person without diabetes is Less than 140 mg/dl (7.8 mmol/L) **Recommendation for someone with diabetes Less than 180 mg/dl (10.0 mmol/L)
💁♂️ HbA1c - Normal for person without diabetes Less than 5.7%, **Recommendation for someone with diabetes,Less than 7.0
** ব্লাড সুগার পরিমাপের সময় mg থেকে mmol এ রূপান্তর এর নিয়ম হলো ১৮ দিয়ে ভাগ দেওয়া যেমন-১৮০/mg যদি আপনার মেশিন শো করলে আপনি ১৮ দিয়ে ভাগ করলে হবে ১০/mmol.
Thank you.
ⒸBKPA
Caution:BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
সতর্কতাঃ বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।**