💥 খাদ্য গাইডলাইন/চার্টটি পড়ার পূর্বে সর্বপ্রথম নিচের ইন্সট্রাকশনগুলো ভালো করে পড়ুন -
✋️ সঠিক ডায়েট চার্ট কিডনী রোগীদের কিডনী রোগকে দীর্ঘদিন মন্থর বা স্থির রাখতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। মনে রাখতে হবে, কিডনী রোগের স্তর, ইলেক্ট্রোলাইটস/ পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ইউরিক অ্যাসিড, পিএইচ, হিমোগ্লোবিন, রক্তের সুগার লেভেল ইত্যাদি এবং রোগীর বয়স, উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী 💢ডায়েটেশিয়ান খাবার চার্ট/ক্যালোরি পরিমান পরিবর্তন বা সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারে তাই ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ এবং 💢ডায়েটেশিয়ানের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ/সমন্বয় জরুরী……যেমন: যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট/সুগার বিবেচনায় নিয়ে ডায়টেশিয়ানকে ডায়েট চার্ট করতে হয় আবার যাদের ব্লাড প্রেশার বেশি তাদের লবণ এবং চর্বি জাতীয় খাবারের রেস্ট্রিকশন আনতে হয়…তাই প্রতিটি রোগীর ডায়েট চার্ট স্বতন্ত্র হয়ে থাকে।
✋️ ডায়ালাইসিস রোগীদের খাদ্য চার্ট সাধারণত ভিন্ন হয়ে থাকে কারণ ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে ভিটামিন/মিনারেলস রোগীর শরীর থেকে বের হয়ে যায় যা পরবর্তীতে নেফ্রোলজিস্ট পূরণ করে থাকেন বিভিন্ন ভিটামিন/ মিনারেলস ওষুধ বা ইনজেকশনের মাধ্যমে এবং সে সময় প্রোটিন রেস্ট্রিকশনও কম থাকে।
✋️ পানি কতটুকু পান করবেন তা স্ট্রীক্টলী নেফ্রোলজিস্ট নির্ধারণ করে দিবেন যা রোগের স্তর এবং রোগীর অবস্থা/শারীরিক সিম্পটম্প অনুযায়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে এবং রোগী থেকে রোগী ভিন্ন হয়, যা প্রত্যহ ২৪ ঘন্টাতে সাধারণত এক থেকে দুই লিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, যারা ডায়ালাইসিস করছেন তাদের ক্ষেত্রে ৫০০ এমএল পর্যন্ত নির্ধারিত থাকতে পারে।
✋️ মনে রাখতে হবে ক্রনিক কিডনী রোগীদের ডায়েট চার্টে সাধারণত অনেক বেশি রেস্ট্রিকশন্ থাকে যা অন্য রোগের ক্ষেত্রে এতো পরিমান থাকেনা তাই খাদ্যনিয়ন্ত্রণে কিডনী রোগীকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হয় যা কষ্টসাধ্যও বটে।
💥নিচের কিডনী রোগের খাদ্য তালিকাটি এবং ইন্সট্রাকশনগুলো একটি নিরাপদ গাইডলাইন বা মাপকাঠি বিবেচনায় বর্ণনা করা যেনো কিডনী রোগের ডায়েট প্লান সম্পর্কে কিডনী রোগীগণ একটি ধারণা পেতে পারে যা কোনো স্পেসিফিক কিডনি রোগীর জন্য নির্দিষ্ট নয়।
💢💢খাদ্য তালিকা💢💢
🍀সকাল -
লাল আটার/চালের এক পিছ হাতের পাঞ্জার (✋️) সমান একটি রুটি….
ডিম্ একটা….
এক কাপ সবজি (১২০/১৫০ এম এল কাপ),**সবজি তালিকা নিচে দেওয়া আছে।
যারা চা পছন্দ করেন তারা মাঝারি এক কাপ গ্রীন টি খেতে পারেন।
🍀দুপুর - ১২০/১৫০ এম এল কাপের এককাপ ভাত।
**এক কাপ সবজি (১৫০ এম এল কাপ )
** চিকেন অথবা ফিশ, সাইজটা হবে ম্যাচ/দিয়াশলাই বক্সের সাইজের সমান বা তার চেয়ে কিছুটা ছোটো বা বড়ো (সাইজ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য বলা)
বিঃ দ্রঃ - সারাদিন যতো গ্রাম প্রোটিন ডায়টেশিয়ান নির্ধারণ করে দিবেন আপনার রোগের স্তর বা অবস্থা অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট গ্রাম/পরিমান আপনাকে বিভিন্ন বেলাতে সঠিকভাবে ডিস্ট্রিবিউশনও করে দিবেন তিনি।
🍀বিকাল - একটা মাঝারি সাইজ আপেল অথবা দেশি পেয়ারা অথবা নাশপাতি অথবা পেঁপে বা এক কাপ শুধু জাল দেওয়া সাগু সিদ্ধ।
🍀রাত - লাল আটার এক পিছ হাতের পাঞ্জার সমান পাতলা একটি রুটি অথবা ১২০ এম এল কাপের এককাপ ভাত/ লাল চালের(হোল গ্রেইন ) ভাত।
এক কাপ সবজি (১৫০ এম এল কাপ )
এক পিছ ম্যাচের বাক্সের সাইজের (ছোটো বা বড়ো) স্কিন ছাড়া চিকেন অথবা ফিশ।
🍀রাতে শোয়ার আগে এক কাপ নন ফ্যাট মিল্ক বা টক দই বা রক্তে ফসফরাস বেশি থাকলে বাজারে কিডনী রোগীদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরী দুধ পাওয়া যায় সেগুলো বেছে নিতে পারেন।
💥💥 ইন্সট্রাকশনস 💥💥
**প্রত্যহ টোটাল ৪০/৫০/৬০ গ্রাম ⛳️প্রোটিন ডায়টেশিয়ান নির্ধারণ করতে পারে…..বডি ওয়েট যা আছে তার সাথে ০.৮ এমজি প্রোটিন গুন্ করে সারাদিন কি পরিমান প্রোটিন খাবেন তা ডায়টেশিয়ান নির্ধারণ করে থাকতে পারেন।
**লাউ, চিচিঙ্গা ,ঝিঙ্গা ,পটল, শশা,ধুন্দল, চালকুমড়া ইত্যাদি থেকে সবজি পছন্দ করতে হবে।
**১২০/১৫০ এমএল ⛳️কাপের সাইজ হবে টি স্টলে যে ছোট ট্রান্সপারেন্ট/স্বচ্ছ মাঝারি কাপগুলো পাওয়া যায় তার সমান বা রেগুলার সাইজের চা খাওয়ার কাপ……মনে রাখতে হবে মাঝারি বা বড়ো মগ নয়, আমরা যে প্রচলিতভাবে কফি মগ বলে থাকি সেগুলো নয়।
**সকল খাবার খুবই অল্প পরিমান ⛳️তেল দিয়ে রান্না করতে হবে, অতিরিক্ত তেলে রান্না খাবার বা ডুবো তেলে ভাজাপোড়া যেমন পুড়ি, সামুচা, বেগুনী, চপ, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ।
**মুরগি বা মাছের তরকারি রান্না করতে ⛳️সবজির লিস্ট থেকে সবজি পছন্দ করতে হবে।
**ভাত রাধার সময় ⛳️ ভাতের মার/পানি ফেলে দিতে হবে।
**⛳️পানি নির্ধারিত থাকলে, দুধ বা চা পানের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পানির পরিমান থেকে নিতে হবে বা মাইনাস করতে হবে।
**রক্তে ⛳️ পটাসিয়াম বেশি থাকলে সবজি ছোট ছোট করে কেটে ভালো করে সেদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করতে হবে।
** হাই ⛳️কলেস্টেরল যুক্ত খাবার বিশেষ করে অর্গান মিট যেমন- কলিজা, মগজ, কিডনির মাংস এছাড়াও বিভিন্ন ফাস্টফুড আইটেম ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ…..রেড মিট অল্প পরিমান অকেশনালি ডায়টেশিয়ানের পরামর্শে খেতে পারেন।
**যাদের রক্তে ⛳️ ফসফরাস বেশি তাদের ফসফেট সমৃদ্ধি খাবার যেমন : দুধ, কাস্টার্ড, চকলেট, আইসক্রিম, পনির, পায়েশ, পনির, চিজ, মাছের কাটা, মাছের মাথা, ছোট মাছ, কোমল পানিও ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ।
**যাদের ⛳️ ইউরিক এসিড বেশি তাদের ইউরিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন ছোলা, বুটের ডাল, মুগ ডাল, মটর, সিম, পুই শাক, অর্গান মিট ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ।
**মনে রাখতে হবে নির্দিষ্ট পরিমান ⛳️প্রোটিন প্রত্যহ খেতে হবে.. প্রোটিন বন্ধ করলে পেশী/মাছেল ওয়েস্ট হতে পারে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং শারীরিক শক্তি এবং ইনফেকশন প্রতিরোধে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে…..**পরিমিত ডিমের সাদা অংশ এবং সাগু কিডনী রোগীদের জন্য বেশ পুষ্টিকর ও নিরাপদ প্রোটিন সোর্স।
**⛳️লবণ জাতীয় খাবার যেমন চিপস, নোনা শুঁটকি, নানরুটি, সামুদ্রিক নোনতা মাছ, লবনযুক্ত পনির, বেকিং পাউডার দিয়ে রান্না করা খাবার, পপকর্ন, নোনতা বাদাম, নুডুলস বা নুডুলসে ব্যাবহৃত প্যাকেট মশলা, পাপড় ,চাটমশলা ইত্যাদি বা রান্নাতে অতিরিক্ত লবণের ব্যবহার বা খাবারের সময় এক্সট্রা লবণ খাওয়া নিষিদ্ধ, একই সাথে টেস্টিং সল্ট, বিটলবণ ইত্যাদি লবন খাওয়া নিষেধ।
**কামরাঙ্গা, সম্পূর্ণ লেবুর রস/জুস, জাম্বুরা, বিলম্বি(এটাও কামরাঙ্গা গোত্রের) জলপাই এবং অতিরিক্ত ⛳️ সাইট্রাস জাতীয় ফ্রুইট নিষেধ তবে ভাতের সাথে ছোট এক টুকরো/পোরশন কাটা লেবু খাওয়া যাবে কারণ ভিটামিন সি এর দরকারও শরীরেও রয়েছে।
**⛳️গ্লুটেন জাতীয় ফুড যেমন বেকারী আইটেম, পেস্ট্রি, বেকারি বন /ব্রেড, নুডুলস,প্যাটিস, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি নিষেধ।
**⛳️অক্সালেট জাতীয় সবজি যেমন- কচু, কচুর শাক, আলু, বিট রুট, স্পিনাচ ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ।
**⛳️প্রিজারভেটিভ দেওয়া প্যাকেট ফুড নিষেধ বা লক্ষ করবেন প্যাকেটের গায়ে লবণের/পটাশিয়ামের পরিমান কতো।
Thank You
BKPa (B-Bangladesh, K-Kidney, Pa - Patient) Foundation
Caution:
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
সতর্কতাঃ
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।