কিডনি প্রতিস্থাপন পরে Polyomavirus BK ভাইরাস (BKPyV) একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা এবং গ্রাফ্ট কিডনি রিজেকসনের অন্যতম একটি প্রধান কারন। দুর্ভাগ্যবশত, বিকে ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার বিকল্প সীমিত, এবং কার্যকর কোনো প্রতিরোধ নেই।
বিকে ভাইরাস এমন একটি ভাইরাস যা বেশিরভাগ মানুষ শৈশবে পেয়ে থাকেন। লক্ষণগুলি সাধারণ সর্দির মতো অনুভব হতে পারে। একবার আপনি BK ভাইরাস সংক্রমণ হয়ে গেলে, ভাইরাসটি আপনার সিস্টেমে latent অবস্থায় থাকে। বেশিরভাগ মানুষের জন্য একটি সমস্যা সৃষ্টি করে না। একে বলা হয় সুপ্ত, বা আপনার শরীরে ‘ঘুমিয়ে থাকা’।, যখন আপনার ইমিউন সিস্টেম ভালভাবে কাজ করে না, তখন ভাইরাস জেগে ওঠে।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন - কিডনি প্রতিস্থাপন
কিডনি অস্ত্রোপচার বা আঘাত
বয়স্ক বাক্তি যারা অন্য রোগে আক্রান্ত
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
এইচআইভি এবং ডায়াবেটিস আক্রান্ত বাক্তি ইত্যাদি
সাধারণত ট্রান্সপ্লান্টের পরে, বিশেষ “অ্যান্টি-রিজেকশন”/ “anti-rejection” medicines ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। এই ওষুধ গুলো খেতে থাকলে আমাদের শ্বেত রক্তকণিকাগুলিকেও (white blood cells )সঠিকভাবে কাজ করে পারেনা। শ্বেত রক্তকণিকা (white blood cells ) শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর যখন এই ওষুধগুলি গ্রহণ করা হয় তাঁর ফলে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা বাক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে এই ভাইরাস শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে থাকে এবং এটি প্রতিস্থাপিত নতুন কিডনির ক্ষতি করে থাকে এবং আপনার কিডনি রিজেকসন পর্যন্ত করতে পারে।
কিডনি প্রতিস্থাপনের পর BK সংক্রমণের জন্য অতিরিক্ত ইমিউনোসাপ্রেশন (overimmunosuppression) ওষুধ ই অন্যতম প্রধান কারন । এর সাথে বয়স্ক কিডনি ডোনার , পূর্বের কিডনি রিজেকসনের হিস্টোরি , হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেনের মাত্রার অমিল (degree of human leukocyte antigen - HLA mismatching) , দীর্ঘস্থায়ী ঠাণ্ডা থাকলে এবং ইউরেটারাল স্টেন্ট বসানো সবই ঝুঁকির কারণ হিসেবে জড়িত।
কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে এবং পরে নেফ্রোলজিস্ট বিকেভাইরাস পরীক্ষা করে থাকে কারন যেহেতু BK ভাইরাস আমাদের শরীরে সুপ্ত অবস্থা থেকে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরে “জেগে উঠতে পারে”, তাই কিডনি প্রতিস্থাপনের পরে বিকে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছি কিনা তার জন্য এ সম্পরকৃত লক্ষণগুলির দিকে নজর রাখা উচিত ।
লক্ষণগুলো হচ্ছে –
দৃষ্টির পরিবর্তন, যেমন ঝাপসা দৃষ্টি
প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন (প্রস্রাব বাদামী বা লাল রঙের)
প্রস্রাব করলে ব্যথা হয়
প্রস্রাব করতে অসুবিধা হওয়া
কাশি, সর্দি বা শ্বাসকষ্ট
জ্বর, পেশী ব্যথা বা দুর্বলতা
ডায়রিয়া
সিরাম ক্রিয়েটিন বেড়ে যাওয়া
শ্বেত রক্তকণিকা (white blood cells ) পরিমাণ কমে যাওয়া ( 4000 এর নিচে নেমে যাওয়া )
প্রস্রাব এবং রক্তের প্লাজমা দ্বারা PCR টেস্ট এর মাধ্যমে BKV-DNA লোড সনাক্তকরণ BKPyVN (বিকেভাইরাস) নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে BKPyVN পর্যবেক্ষণ করার একটি সাধারণ এবং কার্যকর উপায়।
“প্রস্রাবের BKV-DNA load 1.0 × 107 copies/ml অথবা রক্তের প্লাসমা টেস্টে BKV-DNA load 1 × 104 copies/ml বেশি থাকলে তাঁর বিকেভাইরাস দ্বারা ক্ষতি হওয়ার ঝুকি বেশি থাকে ।”
এছাড়া কিডনি বায়োপসি মাধ্যমে BKVN সনাক্ত করা হয়।
দুর্ভাগ্যবশত, কার্যকর BK ভাইরাস-নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি এখনো নেই।
চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত কোন প্রকার চিকিৎসা এখনো বিজ্ঞানিরা আবিস্কার করতে পারেন নি এই ভাইরাস এর জন্য ।
তবে সাধারণত কিডনি প্রতিস্থাপন এর আগে ও পরে রোগীর শারীরিক অবস্থা , রিজেকশন হিস্টোরি , কিডনি অন্যান্য পরিমাপ যেমন ক্রিয়েটিনিন, ইউরিনে প্রোটিন এর পরিমাপ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে নেফ্রলজিসট ইমুনুসাপ্রেসিভ মেডিসিন এর ডোজ পরিবর্তন, এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপের ওষুধে নিয়ে যাওয়া ( Tacrolimus ওষুধ পরিবর্তন করে ciclosporin or everolimus মেডিসিনে অথবা mycophenolic acid থেকে azathioprine জেনারের ওষুধে যাওয়া ) এবং Viral Load এর উপর পর্যবেক্ষণ করে ইমুনুসাপ্রেসিভ মেডিসিন কিছুদিনের জন্য পুরপুরি বন্ধ রাখতে পারে।
সর্বোপরি BK ভাইরাস মোকাবিলার জন্য জন্য রুটিন স্ক্রীনিংবা টেস্টের বিকল্পও নাই । ইমিউনোসপ্রেশন ওষুধের মাত্রা হ্রাস করে BK নেফ্রোপ্যাথি চিকিৎসার এখন পর্যন্ত মূল ভিত্তি। তাই একটি অভিজ্ঞ নেফ্রলোজিসট এর অধীনে থেকে এ ভাইরাস মোকাবিলা করা উচিত।
ⒸBKPA
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।