কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে ট্রান্সপ্ল্যান্ট বাক্তিদের উচ্চ মাত্রার immunosuppression and glucocorticoids ( steroids ) জাতীয় মেডিসিন প্রয়োগের ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেয়ে থাকতে পারে যাকে New Onset Diabetes After Transplantation (NODAT) বলা হয়ে থাকে। এটি প্রতিস্থাপনের পরে যে কোনও সময়ও হতে পারে। NODAT এর কারনে কারডিওভাস্কুলার রোগ, ইনফেকশন এবং প্রতিস্থাপিত কিডনি কার্যক্ষমতা হ্রাস হয়ে যার ফলশ্রুতিতে ইউরিন এর মাধমে প্রোটিন যাওয়ার পরিমান বৃদ্ধি করে।
কিডনি প্রতিস্থাপিত মানুষের অন্য সাধারন মানুষদের থেকে কারডিওভাস্কুলার রোগ (cardiovascular disease (CVD) ঝুকি বেশি থাকে যা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট এর পর New Onset Diabetes After Transplantation (NODAT) কারনে আর বেশি পরিমান ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।
এই NODAT হওয়ার রিস্ক ফ্যাক্টর দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
#Non_Modifiable_Risk_Factors (অপরিবর্তন যোগ্যরিস্ক ফ্যাক্টর) যা আমাদের নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না
যার মধে রয়েছে-
১. বয়স (#Age) – ৪০ বছরের উপরের মানুষদের ডাইবেটিস হওয়ার রিস্ক বেশি থাকে। ( ট্রান্সপ্লাট এর পর যে কোন শ্রেণির বয়সী মানুষের হয়ে থাকতে পারে)
২. জাতিসত্তা (#Ethnicity) - আফ্রিকান ও Hispanic বংশোদ্ভূতদের মধ্যে ইমিউনোসপ্রেসেন্ট ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির প্রতি কিছু ধরণের উচ্চ সংবেদনশীলতা রয়েছে । (আমারা এই জাতিস্ততার বাহিরে)
৩. পারিবারিক ইতিহাস (#Family history) - যাদের পরিবারের সদস্যদের ডাইবেটিস রয়েছে তাদের খেত্রে NODAT ঝুঁকিটি সাতগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
#Modifiable_Risk_Factors পরিবর্তিতযোগ্য ঝুঁকি যা আমরা ওষুধ এবং লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে কমাতে পারি।
১. ওজন (#Weight) - অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় নোড্যাট (NODAT) এর ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখা উছিত।
২. উচ্চ কোলেস্টেরল (#Hyperlipidemia) - উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে সুতরাং ডায়েটরি পরিবর্তন বা medication এর সাহায্যে রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ত্রন করা জরুরী।
৩. সংক্রমণ (#Infection) - সাইটোমেগালভাইরাস (সিএমভি) Cytomegalovirus (CMV) এবং হেপাটাইটিস সি ভাইরাস (এইচসিভি) Hepatitis C virus ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণ হিসাবে পরিচিত, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস এর ফলে মানুষের শরীরের Islet cells ক্ষতি এবং কর্মহীনতা করে। Islet cells হলো সেই cells বা কোষগুলি যা ইনসুলিন নিঃসরণ করে, এমন হরমোন যা আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. এন্টি রিজেকশন ওষুধ (#Anti_Rejection_Medications) - Glucocorticoids (aka steroids) ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা হ্রাস করে।
৫. ইমিউনোসাপ্রেশন (#Immunosuppression)- : ট্যাক্রোলিমাস (Tacrolimus ) এবং এই রুপ ওষুধগুলো (azathioprine and mycophenolate mofetil ) শরীরের islet cells কোষগুলির ক্ষতি করে ইনসুলিন প্রতিরোধের করে “ডায়াবেটিসজনিত” প্রভাবগুলির বাড়ায়। এইজন্য এইসব ওষুধ শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ডোস এর খাওয়া উচিত।
#নিয়ন্ত্রনের উপায় –
আমাদের নিয়মিত এক্সারসাইজ ও ডায়েট এর মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রন রাখতে হবে। শরীরের নিয়ন্ত্রিত ওজন আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।
টাটকা, কম চর্বিযুক্ত, কম শর্করাযুক্ত খাবার খেয়ে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সহজ করে তোলে। এগুলি রক্তের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
কিডনি প্রতিস্থাপনের পর আমদের মধ্যে অনেকেই ঘর থেকেই বের হয়া বন্ধ করে দেয় হয়।
কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে শারীরিক ভাবে আমাদের সক্রিয় থাকা অনেক জরুরী। যখন আমরা সক্রিয় থাকি তখন আমাদের দেহগুলি আরও কার্যকরভাবে সিক্রেট করে এবং এর শরীরের সেল ইনসুলিন ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। শুধু তাই নয় শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকালে আমাদের দেহের অতিরিক্ত খারাপ চর্বি বা হাইপারলিপিডেমিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
পরিশেষে আমাদের রুটিন টেস্ট এর সাথে সাথে অবশ্যই খাওয়ার আগে Fasting Blood Test (#FBS) এবং খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরের 2-hour postprandial blood sugar.সুগারের টেস্ট করা অবশ্যই বাঞ্ছনীয়। তা ছাড়া প্রতি তিন মাস পর পর HBA1C (রক্তের ৩ মাসের শর্করার মাত্রা) টেস্ট করা উচিত ।
ⒸBKPA
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।