Pregnancy's after Renal Transplantation - কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পর প্রেগ্ন্যানসির

post-image

কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পর প্রেগ্ন্যানসির টার্গেট হতে হবেঃ

ট্রান্সপ্লান্টেড কিডনির কোনো ক্ষতি না হওয়া

গর্ভস্থ বাচ্চার কোনো ক্ষতি না হওয়া

প্রেগ্ন্যানসি টাইমে & প্রেগ্ন্যানসি পরবর্তী টাইমে শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখা

★কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পর শারীরিক অবস্থা ও ব্লাড রিপোর্ট সব রেগুলারলি ঠিক থাকলে ২ বছর পার হলে প্রেগ্ন্যাসি এলাউ করা হয়।

★প্রথম কনসার্ন হোলো ডাক্তারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া। যদি বাংলাদেশে প্রেগ্ন্যানসি কনডাক্ট করা হয় তাহলে ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলোজিস্ট বাংলাদেশের হতে পারেন, আবার দেশের বাইরেরও হতে পারেন (যেক্ষেত্রে অনলাইনে রেগুলার যোগাযোগ রাখতে হবে), গাইনোকোলোজিস্ট বাংলাদেশে হতে হবে প্লাস প্রয়োজনে দেশের বাইরেও অনলাইনে রেগুলার যোগাযোগ রাখতে পারেন। তাদের মতামতগুলো পুরো প্রেগ্ন্যানসিতে পরস্পরকে জানাতে হবে & কম্বাইন্ড সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

★প্রেগ্ন্যানসির ইমিডিয়েট আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে সতর্ক থাকতে হবেঃ

*বড় ধরনের ইনফেকশন হওয়া যাবেনা

*বড় ধরনের কিডনি রিজেকশন হওয়া যাবেনা

*ট্রান্সপ্লান্টের পর থেকেই স্ট্যাবল কিডনি ফাংশন ছিলো কি না

*ইউরিনে প্রোটিন লিকের পরিমাণ (প্রেগ্ন্যানসির শুরুতে 24 hour UTP তে 400/500 মিগ্রা পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য।)

★মেডিসিন চেঞ্জঃ MMF অফ করা হবে। এর পরিবর্তে এজোরান (Azathioprine) শুরু করা হবে যেটার ডোজ ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলোজিস্ট ঠিক করে দিবেন। এই মেডিসিন চেঞ্জ করার পর ২.৫-৩ মাস গ্যাপ দিতে হয়, কারন মেডিসিন শরীরে এডজাস্ট করার সময় দিতে হয়। এজন্য এসময় CBC, Creatinine, ACR, 24 hour UTP প্রতি মাসে ১ বার বা ২ বার চেক করতে হবে।

★অন্যান্য মেডিসিনের মধ্যে ব্লাডপ্রেশার মেডিসিন চেঞ্জ করতে হবে (স্পেশালি ARB গ্রুপের মেডিসিন যেটা প্রোটিন লিক স্বাভাবিক রাখার জন্য ট্রান্সপ্লান্টদের কমনলি দেয়া হয়)। ব্লাডসুগার নরমাল রাখার জন্য ইনসুলিন যোগ করতে হতে পারে। স্টেরয়েডের ডোজ বাড়াতে হতে পারে।

★ট্রান্সপ্লান্টের পর MMF গ্রুপের যে মেডিসিন খেতে হয় (যেমন মাইসেপ্ট/মাইফর্টিক ইত্যাদি) সেটার খুব খারাপ ধরনের সাইড এফেক্ট আছে প্রেগন্যান্সিতে এবং এই মেডিসিন খাওয়া অবস্থায় বাচ্চাকে ব্রেস্টফিড করালে। এজন্যই এই মেডিসিনটা আবশ্যিকভাবে বন্ধ করা হয় এবং এটাকে পুরোপুরিভাবে শরীর থেকে বের হবার জন্য প্রায় ৩ মাস গ্যাপ দেয়া হয়। প্রায় একইরকম

খারাপ ইফেক্ট হয় ARB গ্রুপের ব্লাডপ্রেশার মেডিসিন খেলেও।

বাকি মেডিসিনগুলো (ট্যক্রোলিমাস, লো ডোজ স্টেরয়েড, এজাথিওপ্রাইন) এগুলোর এখোনো পর্যন্ত কোনো সাইড এফেক্ট পাওয়া যায়নি।

যেকোনো প্রেগন্যান্সিতেই কিছু রিস্ক থাকে, কিন্তু এই ৩টা মেডিসিনের জন্যই সেটা হয়েছে– এরকম কোনো স্টাডিতে এখোনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে MMF এর খুব ক্ষতিকর সাইড এফেক্ট আছে– সেটা প্রমাণিত।

★এই তিনমাসের মধ্যে হিমোগ্লোবিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, থাইরয়েড হরমোন লেভেল সহ অন্যান্য প্যারামিটার চেক করে নিতে হবে এবং কোনো লেভেল কম থাকলে সেটার খাবার+মেডিসিন খেয়ে নরমাল লেভেলে নিয়ে আসতে হবে।

★প্রেগ্ন্যানসি আগের তিনমাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউট্রিয়েন্ট হোলো জিংক ও ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট। স্বাভাবিকভাবে এটা সব প্রেগ্ন্যানসিতেই খাওয়া উচিৎ। তবে ট্রান্সপ্লান্ট প্রেগ্ন্যানসির ক্ষেত্রে এটা মাস্ট। এর পাশাপাশি আয়রন,ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টও খেতে হবে।

★এই তিনমাসের মধ্যে ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলোজিস্ট ও গাইনোকোলোজিস্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী একটা থরো চেকআপ করা বেটার।

প্রেগ্ন্যানসি চলাকালীন সময়ঃ

★প্রেগ্ন্যানসি চলাকালে সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট ইস্যু হোলো ট্যাক্রোলিমাস লেভেল চেক করা এবং ডোজ এডজাস্ট করা। কারণ এসময় ট্যাক্রোলিমাস লেভেল কমবে- এটা শিওর। এজন্য প্রেগ্ন্যানসির আগে ট্যাক লেভেল নরমাল রেঞ্জে অর্থাৎ ৪-৫ এর মধ্যে ছিলো কিনা সেটা চেক করতে হবে, এবং প্রেগ্ন্যানসি টাইমে একটি নির্দিষ্ট টাইম গ্যাপে এই লেভেল চেক করতে হবে। লেভেল কমলে 0.5mg করে ডোজ বাড়াতে হবে যেন পুরো প্রেগ্ন্যানসি টাইমে এটা ৪-৫ লেভেলে থাকে। কাজেই 1mg & 0.5mg ট্যাক্রোলিমাস মেডিসিন নিজেদের কাছে স্টক থাকা আবশ্যক।

★প্রেগ্ন্যানসি চলাকালীন সময়ে হিমোগ্লোবিন কমবে। এজন্য প্রেগ্ন্যানসির আগে থেকেই আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে, প্রয়োজনে শিরাপথেও নিতে হবে। ট্রান্সপ্লান্ট মায়ের ক্ষেত্রে টার্গেট হিমোগ্লোবিন ১১তে মেইনটেইন করা উচিৎ, তবে ৯.৫ বা এর বেশি থাকলে সি সেকশনের সময় ব্লাড ট্রান্সফিউশানের প্রয়োজন নেই। ট্রান্সপ্লান্টদের জন্য ব্লাড ট্রান্সফিউশান রিস্কি, কাজেই যদ্দুর সম্ভব ব্লাড নেয়া এভয়েড করে প্রেগ্ন্যানসি কমপ্লিট করার চেষ্টা করা উচিৎ।

★এছাড়া অন্যান্য নিউট্রিয়েন্ট লেভেল প্রতি তিনমাসে চেক করতে হবে & গাইনোকোলোজিস্ট এর সাজেশন অনুযায়ী সেগুলোর সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।

★ট্রান্সপ্লান্ট প্রেগ্ন্যানসিতে আল্ট্রাসনোগ্রামের সঠিক শিডিউল ফলো করতে হবে। শিডিউলটি হোলোঃ

* প্রথম প্রেগ্ন্যান্সি প্রোফাইল বা Viability Scan ৬-৯ সপ্তাহে।

* NT Ultrasound Scan ১১ সপ্তাহ - ১৩ সপ্তাহ ৬দিনে।

* Anomaly Scan ১৮-২১ সপ্তাহে।

* ১ম গ্রোথ স্ক্যান (1st Fetal growth scan) ২৮-৩২ সপ্তাহে

* ২য় গ্রোথ স্ক্যান ও ডপলার স্টাডি (2nd Fetal growth scan with doppler study) - ৩৬-৪০ সপ্তাহে।

এছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে করাতে পারেন।

* বায়োফিজিক্যাল প্রোফাইল ২৮-৪২ সপ্তাহে।৷

আল্ট্রাসাউন্ডগুলো শিডিউল অনুযায়ী যথাসময়ে করা খুবই জরুরী কারণ ট্রান্সপ্লান্টেরর পর প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন লিক যদি বাড়ে তবে তা গর্ভস্থ বাচ্চার গ্রোথকে প্রভাবিত করতে পারে, যেটা আল্ট্রাসাউন্ড করলে বোঝা যায়।

★প্রেগ্ন্যানসি চলাকালীন সময়ে ক্রিয়েটিনিন বেস লেভেলের চেয়েও কমে যায়। (ট্রান্সপ্লান্ট প্রেগ্ন্যানসিতে ক্রিয়েটিনিনের নরমাল লেভেল ০.৬-০.৭)। তাই এসময় কিডনির অবস্থা বোঝার জন্য ক্রিয়েটিনিনের চেয়েও ইম্পরট্যান্ট মার্কার হোলো 24 hour UTP বা ACR/PCR… কারন এসময় ইউরিনে প্রোটিন লিক বাড়ে। এজন্য প্রতি ২-৩ মাসে ইউরিন প্রোটিন লিকের এই টেস্টটি করাতে হবে।

★ট্রান্সপ্লান্টের পর প্রেগন্যান্সিতে দুটি বড় রিস্ক হচ্ছে ব্লাডপ্রেশার হাই হয়ে Pre-eclampsia ও Eclampsia হওয়া যা মা ও বাচ্চা উভয়ের জন্যই খুব রিস্কি। পাশাপাশি ট্যাক্রোলিমাস ও স্টেরয়েড ডোজ বৃদ্ধির কারণে ব্লাডসুগার বেড়ে যাওয়া। এজন্য ব্লাডপ্রেশার ও ব্লাডসুগার রেগুলার চেক করতে হবে।

★কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট মা নরমাল ডেলিভারি বা সি-সেকশন যেকোনোটির মাধ্যমে বেবি ডেলিভারি করাতে পারেন। তবে বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ডাক্তার সি-সেকশনই প্রেফার করেন।

★সি-সেকশন করার উপযুক্ত সময় ৩৭তম থেকে ৩৮তম সপ্তাহ (সব প্যারামিটার ঠিকঠাক থাকলে)। এর চেয়ে বেশি টাইম পার হলে প্রোটিন লিক বেড়ে ট্রান্সপ্লান্ট কিডনির উপর চাপ পড়তে পারে।

★যেহেতু প্রেগন্যান্সি যত এডভান্স হয় তত প্রোটিন লিক বাড়ে, এজন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এক্ষেত্রে ডেলিভারির পর বেবির N-ICU সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য এমন হাসপাতাল সিলেক্ট করা উচিৎ যেখানে সব ধরনের সাপোর্টসহ N-ICU আছে।

প্রেগ্ন্যানসির পরেঃ

★ডেলিভারির সপ্তাহখানেকের মধ্যে ট্যাক্রোলিমাস লেভেল হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। এজন্য ডেলিভারির এক সপ্তাহ পার হলেই ট্যাক্রোলিমাস লেভেল চেক করতে হবে & কিছুদিন গ্যাপ দিয়ে দিয়ে ট্যক্রোলিমাস লেভেল টেস্ট করে ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলোজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ ধাপে ধাপে কমাতে হবে।

★ট্রান্সপ্লান্টে কিডনির ফাংশন স্ট্যাবল থাকলো কিনা সেটা মনিটর করার জন্য কিছুদিন রেগুলারলি ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলোজিস্টের ফলোআপ করা আবশ্যিক।

ⒸBKPA

Caution:
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
সতর্কতাঃ
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।