Uric Acid - ইউরিক অ্যাসিড

post-image

ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid)

ইউরিক অ্যাসিড এক ধরণের waste প্রোডাক্ট যা purine ভেঙে তৈরী হয়।আমাদের শরীরে তৈরী হওয়া অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড Urine দিয়ে বের করার কাজ করে কিডনি কিন্তু কিডনি যখন বিভিন্ন কারণে দুর্বল হয়ে যায় বা কাজ কম করে বা করে না তখন অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনি কম বাহির করা শুরু করে বা যে পরিমান বের করা দরকার সে পরিমান বের করতে পারেনা যা শরীরে জমা হয় তখন তাকে বলা হয় Hyperuricemia। প্রাইমারি ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার কারণ মেইনলি এইটাই,সেকেন্ডারি আরো কিছু বাড়ার কারণ আছে কিন্তু এটা যেহেতু কিডনি বিষয়ক গ্রুপ তাই আর সেকেন্ডারি বিষয় আলোচনা করলাম না।

ইউরিক অ্যাসিড রক্তে বেশি হলেই সমস্যা,তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জয়েন্ট এ ব্যাথা শুরু হতে পারে বা কোনো কোনো সময় প্রচন্ড ব্যাথার আঘাত আনে যাকে গাউট এটাক বলে অনেক সময় Gout আর্থরাইটিস ও বলে। Gout তখন হয় যখন urate ক্রিস্টাল যা তীক্ষ্ণ হয় এবং বিভিন্ন জয়েন্ট এ Inflammation তৈরি করে যা প্রচন্ড বা অসহনীয় ব্যাথা তৈরী করতে পারে। আবার ইউরিক অ্যাসিড বাড়তি থাকলেই যে সবসমই গাউট এটাক হবে তা কিন্তু না,অনেকের ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলেও গাউট এটাক বা ব্যাথা নাও হতে পারে তাই যখনি আপনি কিডনি ফাঙ্কশন টেস্ট করাবেন বা আপনি যখন কিডনি রোগী তখন কিডনি ফাঙ্কশন টেস্ট এর সাথে সাথে ইউরিক অ্যাসিড টেস্ট করাবেন এবং সেই অনুযায়ি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিবেন।

** বেশ কিছু রিসার্চ বলে যে আপনার যদি বেশি ইউরিক অ্যাসিড লেভেল থাকে বা এর কারণে যদি গাউট হয় এবং তার সঠিক চিকিৎসা যদি না নেন তখন urate ক্রিস্টাল urine দিয়ে পাস হয়ে কিডনি Damage করবে বা Inflammation তৈরী করে আপনার ক্রনিক কিডনি রোগকে দ্রুত সম্পূর্ণ কিডনি ফেইলুর এর দিকে নিয়ে যাবে। তাই যারা কিডনি রোগী বা ক্রনিক কিডনি রোগী তাদের অবশ্যই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

♦️♦️আরেকটা বিষয় ইউরিক অ্যাসিড কিন্তু কিডনি স্টোন ও তৈরী করে।আপনার urine দিয়ে যখন হাই ইউরিক অ্যাসিড বের করে তখন urine এর ওভারঅল Ph কমিয়ে দেয় তার মানে আপনার ইউরিন বেশি এসিডিক হয়ে যায় আর এই হাই অ্যাসিড ইউরিনে ইউরিক অ্যাসিড স্টোন ফর্ম করতে সাহায্য করে তাই প্রত্যেকের ব্লাড এ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ এ রাখা প্রয়জন।

♦️🔸️♦️রক্তে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান বেশি কিনা তা জানার জন্য যে পরীক্ষা করতে হয় তা হলো ব্লাড ইউরিক অ্যাসিড লেভেল টেস্ট,যা ব্লাড টেস্ট এর মাধ্যমে জানা যায়। এর স্বাভাবিক মাত্রা মেয়েদের জন্য 2.4-6 mg/dl এবং ছেলেদের জন্য সাধারণত 3.4-7 mg/dl. ল্যাব to ল্যাব কিছুটা তারতম্য হতে পারে.

প্রতিকার

🎗১। লাইফস্টাইল মডিফিকেশন- ইউরিক অ্যাসিড যে খাবার গুলোতে বেশি সেগুলো এভোইড করতে হবে,হাই ইউরিক অ্যাসিড বা পিউরিন যে খাবার গুলোতে বেশি যেমন :অর্গান মিট যেমন লিভার/কলিজা,মগজ মাংস গুলোতে পিউরিন হাই থাকে বিভিন্ন ধরণের রেড 🥩 meat/মাংস এবং পাখির মাংস, হাঁস,কবুতর,টার্কি 🦃 মুরগি,সামুদ্রিক মাছ,লবস্টার বা চিংড়ি,কাঁকড়া,বিভিন্ন ধরণের ডাল বা বিন্স বা বিচি জাতীয় খাবারে বেশি থাকে,বিভিন্ন সবজি যেমন সিমের বিচি,পিচ্ছিল জাতীয় সবজি ঢেড়শ,ফুলকপি,কচু বা কচুর লতি/শাক, পালং,পুই শাক,মাশরুম,টমেটো,বিট,ইত্যাদিতে বেশি থাকে।কিছু ওষুধ যেমন diuretic বা ভিটামিন b3 খেলেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে।

কি খাবেন-

ডিমের সাদা অংশ,দুধ,টক দই,লাউ,চিচিঙ্গা,ঝিঙ্গা,পটল,পরিমিত বাদাম,সাগু,ভাত,রুটি,দেশীয় ফল (পরিমিত)।

ডায়েটিশান এর পরামর্শ গ্রহণ করে ckd ডায়েট ফলো করতে হবে।

আসলে বেশি পানি খেলেও ইউরিক অ্যাসিড কমে কিন্তু যেহেতু কিডনি রোগীদের পানির রেস্ট্রিকশন থাকে তাই তাদের ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ওষুধ খাওয়া ছাড়া বিকল্প থাকে না।

যাদের ওজন বেশি তারা অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

🎗২। মেডিকেশন বা ইউরিক অ্যাসিড রক্তে কমানোর ওষুধ-

যারা কিডনি রোগী তাদের মাঝে মাঝে বা প্রায় সময় ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য ওষুধ ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না তাই তাদের ডাক্তার এর পরামর্শে সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করতে হবে।

ব্যাথার জন্য সাধারণত ডাক্তাররা প্যারাসিটামল সাজেস্ট করে,কিছু ডাক্তার স্টেরইড ও দেয় ব্যাথার জন্য।

গাউট এটাক এর পেইন এর জন্য 💊colchicine একটা ওষুধ আছে যেটা পেইন কমায় এবং ফিউচার গাউট এটাক থেকে বাঁচানোর জন্য অনেক ডাক্তার লো dosage সাজেস্ট করে।

কিন্তু এই ওষুধ গুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর/nephrotoxic তাই ডাক্তারকে ultimately শরীরে ইউরিক অ্যাসিড প্রোডাকশন বন্ধ করার ওষুধ এর দিকে যেতে হয় এবং কিডনি রোগীদের যাদের ইউরিক অ্যাসিড কন্ট্রোল হয় না তাদের এই ওষুধ গুলো চালু রাখতে হয়।

ইউরিক অ্যাসিড শরীরে প্রোডাকশন ব্লক করার ওষুধ এর মধ্যে রয়েছে 💊 Allopurinol,Febuxostat 💊 ইত্যাদি।এই ওষুধ গুলো ডাক্তারদের চালু রাখতে হয়।

🌐 Post Transplant/পোস্ট ট্রান্সপ্লান্ট-

যারা ট্রান্সপ্লান্ট Recipient তাদের ট্রান্সপ্লান্ট এর পরও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে এর কারণের মধ্যে আছে purine খাবার পরিমান বেড়ে যাওয়া এবং ওষুধের সাইড ইফেক্ট এর জন্যেও হতে পারে।যারা Calcineurine Inhibitors এর গ্রুপ এর Immunosuppressive ওষুধ খান যেমন-Cyclosporine তাদের ইউরিক অ্যাসিড হাই হওয়ার প্রবণতা বেশি।

পোস্ট ট্রান্সপ্লান্ট এর পর purine জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত বা স্বাভাবিক মাত্রায় খাওয়া উচিত।তারপরেও বেশি হলে ইউরিক অ্যাসিড প্রোডাকশন ব্লকিং ওষুধ allopurinol বা febuxostat নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শে খাওয়া লাগতে পারে।

ⒸBKPA

Caution:
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
সতর্কতাঃ
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।