উত্তর- আপনি যখন আপনার শরীরে অন্য কারোর অংশ জোরপূর্বক নিজের বানানোর চেষ্টা করবেন তখন সে তা মানতে চাবে না এবং প্রতিবাদ করা শুরু করবে,এই প্রতিবাদ যখন আন্দোলনে রূপ নিবে তখন আপনার শরীর থেকে সে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করবে এবং আপনাকে প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করবে, এটাই রিজেকশন।
১,Hyperaccute rejection - এই ধরণের Rejection প্রতিস্থাপনের কিছু সময়ের মধ্যে বা অপারেশনের পরপরই হয়ে থাকে,যখন antigen পুরোপুরি ম্যাচ না হয় তখন এই Rejection হয়ে থাকে।
২।Accute rejection-এই ধরণের Rejection সাধারণত অপারেশন এর পর,প্রথম সপ্তাহ থেকে তিন মাস এর মধ্যে বা সার্জারির বেশ কিছু মাস পরেও হতে পারে বা হয়ে থাকে।
৩।Chronic rejection-এই ধরণের Rejection ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকে এবং বেশ কিছু বা অনেক বছর সময় নিতে পারে এবং ধীরে ধীরে Creatinine বাড়তে থাকে। নিজের আসল রোগ যেমন :অটোইমিউন ডিসর্ডার,যার কারণে নিজের কিডনির ক্ষতি হয়েছিল তা আবার নতুন করে ফিরে আসলে/আক্রমণ করলে ক্রনিক rejection হয়ে থাকে,আবার ধীরে ধীরে এন্টিবডি ইফেক্ট এর জন্যও ক্রনিক রেজেকশন হতে পারে।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে rejection হতে পারে যেমন -
🔸️ ব্লাড Clot হলে,প্রতিস্থাপিত কিডনি রক্ত সাপ্লাই না পেলে।
🔸️ ব্যাকটেরিয়াল বা ফাংগাল ইনফেকশন হলো কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা নিলেন না বা গাফিলতি করলেন।
🚩ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন কন্ট্রোল,কালচার এবং এন্টিবাযোটিক্স এর ব্যাপারে পড়তে নিচের লিংকটি পড়ুন-
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন/কালচার/এন্টিবায়োটিক্স খাওয়ার নিয়ম- Antibiotics
🔸️ভাইরাল ইনফেকশন - আগে থেকে অনেক রোগীর Hepatitis যেমন-hepatitis B ,C থাকে সেটা নেগেটিভ না থাকলে বা ঠিক মতো কন্ট্রোল না থাকলে।
ট্রান্সপ্লান্ট এর পর BK , CMV দ্বারা আক্রান্ত হলেন কিন্তু সঠিক উপায়ে চিকিৎসা নিলেন না ইত্যাদি।
🔸️অনেক সময় ওষুধ এর সাইড ইফেক্ট এর কারণেও রেজেকশন আসতে পারে।
🔸️ওষুধ খেতে হেলাফেলা করা বা নির্দিষ্ট সময় মেইনটেইন না করা বা আর্থিক বা যেকোনো কারণেই হোক নির্দিষ্ট মাত্রা হতে ওষুধের ডোজ কম করে খাওয়া বা না খাওয়া।
তারপরেও Rejection হলে সেটা নেফ্রোলজিস্ট নিজস্ব প্রাকটিস এবং এক্সপেরিয়েন্সেস এর মাধ্যমে Biopsy করে ডিসিশন নিবেন কি ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিবেন,একেক ট্রান্সপ্লান্ট recipient একেকধরণের তাই Decision ও ভিন্ন যেমন-
Methylprednisolone/ steroid থেরাপি যেটা খুব কমন।
এন্টিবডি রিমুভাল /neutralization :প্লাসমফেরেসিস ,intravenous ইমিউনোগ্লোব্যুলিন
Anti B-Cell থেরাপিএস : Rituximab, IVIG
এন্টিপ্লাসমা সেল থেরাপি : Bortezomib.
Anti-T-cell থেরাপিএস : T-cell depleting agents যেমন- Antithymocyte globulin (ATG).
টার্মিনাল -কমপ্লিমেন্ট pathway ইনহিবিটর : Eculizumab
💐💐Rejection প্রতিরোধের উপায় ?💐💐
উত্তর- Rejection প্রতিরোধের ব্যাপারে নিজেকে খুব ভালো একজন অভিজ্ঞ ট্রান্সপ্লান্ট Nephrologist এর অধিনে থাকা এবং কঠিন ভাবে তার কথা শোনা। প্রতিনিয়ত চেকআপএ থাকা এবং নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা এবং কোনো ধরণের Abnormality দেখলে সাথে সাথে নেফ্রোলজিস্ট কে জানানো কারণ অল্প বা মাঝারি Creatinine বাড়লেও কোনো সিম্পটম বোঝা যায় না তাই ট্রান্সপ্লান্টের প্রথম দিকে প্রথম তিন মাসে নিজের ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের অধিনে সার্বক্ষণিক তীক্ষ্ণ নজরদারিতে থাকা উচিত,একদিন পরপর টেস্ট বা প্রতিদিন এবং আস্তে আস্তে Transplant কিডনি স্থিতিশীল হলে তিনদিন ,সাতদিন এভাবে টেস্টের সময়ের ব্যাপারে দীর্ঘায়িত করবেন নেফ্রোলজিস্ট এবং দেশে চলে আসলেও দেশের ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট এর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নিজের ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট কেও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্লাড টেস্ট এর মাধ্যমে জানানো উচিত এবং কিডনি এডজাস্ট/স্থিতিশীল হওয়ার পর একমাস পর পর ব্লাড টেস্ট করা উচিত,মনে রাখবেন ট্রান্সপ্লান্ট এর পর নিয়মিত ঘনঘন টেস্ট করা উচিত সারাজীবন কারণ অল্প Creatinine বাড়লেও বোঝা যায় না বা শারীরিক কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় না।
প্রথম এক বছর প্রতিনিয়ত বিভিন্ন টেস্ট Observation এ থাকা উচিত যেমন-Tacrolimus টেস্ট করে সে অনুযায়ী Dosage অ্যাডজাস্টমেন্ট করা,ক্রিয়েটিনিন,ইউরিয়া,ইউরিনারি টোটাল প্রোটিন চেক করা,urine rme করা,cbc করা,lipid প্রোফাইল চেক করা,BK CMV VIRUS করা,HBA1C,electrolytes,ভিটামিন D এবং calcium লেভেল চেক করা,TB টেস্ট ইত্যাদি করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
⚘⚘Rejection বোঝার উপায় কি এবং বুঝতে কি ধরণের টেস্ট করবো?
উত্তর- কোনো ধরণের abnormality শরীর বুঝলেই ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে দেখেন,তা যদি বেশ কিছুটা বাড়তি এবং সেটা যদি বাড়তেই থাকে তাহলে বুঝতে হবে Rejection হওয়া শুরু হইসে।এছাড়াও শারীরিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে - দুই একদিন এর মধ্যে দুই অথবা তিন কেজি ওজন বৃদ্ধি পাওয়া,জ্বর,অপারেশন এর জায়গায় ব্যাথা হওয়া,urine আউটপুট কমে যাওয়া ইত্যাদিও Rejection এর সিম্পটম এর মধ্যে অন্যতম।
🌱Biopsy-Rejection বোঝার অন্যতম পরীক্ষা হচ্ছে biopsy ,
লম্বা একটা শুই এর মাধমে kidney থেকে tissue নেওয়ার পর তা টেস্ট করা হয় যে কি কারণে creatinine বাড়ছে এবং Rejection এর কারণ কি?ভয় এর কারণ নাই,
এটা করার সময় লোকাল এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয় এজন্য ব্যাথা পাওয়া যায় না।
🌱DSA(DONOR’S SPECIFIC ANTIBODY),SAB(SINGLE ANTIGEN BEAD),PRA(panal reactive antibody) ট্রান্সপ্লান্ট এর পর recepient এর শরীরে কোনো এন্টিবডি তৈরী হয়েছে কিনা বা এন্টিবডির যে প্যানেল/লিস্ট আছে তা থেকে রিএক্টিভ বা সক্রিয় হয়ে গ্র্যাফ্ট এ দ্রুত বা ধীরে ধীরে এটাক করছে কিনা বা কি পরিমান সক্রিয় হচ্ছে তা বোঝার জন্য এই টেস্টগুলো দিয়ে থাকে,এই ব্লাড টেস্ট দিয়েও আন্টি বডি রেজেকশন এর বিষয় ধারণা পাওয়া যায় এবং নেফ্রোলজিস্ট সে অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
♨️ একটি জিনিস সব সময় মনে রাখবেন কিডনি প্রতিস্থাপন একটি টোটাল প্যাকেজ যা কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে হয়ে থাকে এখানে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভালো ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ যার তত্ত্বাবধায়নে আপনাকে সবসময় সারাজীবন থাকতে হবে এবং ট্রান্সপ্লান্ট পরবর্তী চেকাপ বা ফলোআপ এর জন্য এবং দ্রুত রিজেকশন প্রতিরোধে এবং সঠিক তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণে তার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
ধন্যবাদ।
ⒸBKPA
BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.
বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।