Post Transplant Lifestyle- (ট্রান্সপ্লান্টের পর জীবন ব্যবস্থা)

post-image

Post Renal Transplant/ট্রান্সপ্লান্টের পর ইন্সট্রাকশন্স বা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম মেনে চলবো ?

ভালো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটগুলো লাইফস্টাইল এর ব্যাপারে এবং খাবার এর ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে এবং প্রয়োজনে একজন dietician এর পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

🎉*খেয়াল রাখবেন ট্রান্সপ্লান্ট এর পর তাৎক্ষণিক বাসায় রান্না করা গরম খাবার খাবেন যেটা সর্বোত্তম। বাসি খাবার বা অতিরিক্ত মসলা এবং ঝাল খাবার পরিহার করবেন। যেসব খাবার ইম্মুনোসাপ্রেসিভ মেডিসিন এর সাথে সাংঘর্ষিক যেমন জাম্বুরা বা গ্রেপফ্রুইট ,আনার,কাঁচা রসুন ইত্যাদি পরিহার করা উচিত। লো সল্ট ডায়েট ফলো করুন,প্যাকেট জাতীয় বা কোলা ড্রিঙ্কস বা কার্বনেট পানিও নিষিদ্ধ। সালাত বা কাঁচা ফলমূল প্রথম তিনমাস সাবধানে ভালো করে ধুয়ে খাবেন বা এভোয়েড করতে পারেন। হাই কোলেস্টরেল ফুড যেমন -চিংড়ি রেড মিট, অর্গান মিট যেমন মগজ,কিডনির মাংস ইত্যাদি খাবেন না বা খেলেও খুব অল্প পরিমান অকেশনালী। এছাড়া পরিমিত সব খেতে পারবেন কারণ ট্রান্সপ্লান্ট এর পর রেস্ট্রিকশন্স উঠিয়ে নেওয়া হয় যদি রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট এর পর ইলেক্ট্রোলাইটস ঠিক থাকে।

🎉*পরিষ্কার ফুটানো বা রিভার্স অসমোসিস ফিল্টার পানি পান করবেন,সবসময় মাস্ক ব্যবহার এবং হ্যান্ড হাইজিন মেইনটেইন করবেন। পাবলিক প্লেস যেমন বাজার,মেলা ইত্যাদি জায়গা খুব প্রয়োজ্ন ছাড়া যাওয়া উচিত নয় বা এভোয়েড করবেন।

🎉*ট্রান্সপ্লান্ট এর পর যে মেইনটেনেন্স ইম্মুনোসাপ্রেসিভ খেতে হয় যেমন : ট্যাক্রোলিমাস,মাইকোফেনলেট,স্টেরোয়েড ইত্যাদি সেগুলা নিয়ম তো সঠিক সময়ে খাওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডোজ একটুও এদিক ওদিক করা যাবে না।

🎉*বিছানার চাদর তিনদিন/পাঁচ দিন পরপর চেঞ্জ করবেন। নিজের তোয়ালে,গামছা,রুমাল প্রত্যহ পরিষ্কার করা এবং নিজের পরিধেয় কাপড় বাহির থেকে এসে নিয়মিত ধোয়া উচিত।

🎉*ভ্যাকসিন - কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে পরে বিভিন্ন ভ্যাকসিন যেমন :- ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, হেপাটাইটিস বি ইত্যাদি ভ্যাকসিনগুলো ঠিক মতো নেওয়া আছে কিনা সেগুলো নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শে চেক করা এবং প্রয়জন মতো নিয়ে নেওয়া গুরুপত্বপূর্ণ।

🎉*বাসায় নিজের রুমের দরজার সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখা এবং প্রথম তিনমাস আলাদারুমে আইসোলেশনে থাকা এবং চেষ্টা করা ভিজিটর/দর্শনার্থীদের খুব প্রয়োজন না হলে দেখা না করে ফোনে কথা বলা।

🎉*ওয়াশরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এবং রুমেরসাথে এটাস্ট হওয়াটা প্রয়োজনীয়, একই ওয়াশরুম একাধিক ব্যাক্তি ব্যবহার করলে তা সঠিকভাবে পরিষ্কার বা ডিজইনফেক্ট না করে ব্যবহার করা উচিত নয়।

🎉* নিজের কেয়ার গিভার বা যে দেখাশোনা করবেন বা দায়িত্বে থাকবেন তিনিও যাতে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া।

🎉*নিজের পরিধেয় কাপড় বা তোয়ালে বা দাড়ি শেভ করার রেজার,ট্রিমার কখনো আরেকজনকে বা আরেকজনেরটা নিজের ব্যবহার করতে দেওয়া বা করা উচিত নয়।

🎉*ঢাকা শহরে প্রচুর পলুশন এবং বাতাসে দূষণ অনেক বেশি বা আপনি যদি পলুটেড এরিয়াতে বাস করেন তাহলে বাসাতে এয়ার পিউরিফায়ার/হেপা ফিল্টার ব্যবহার করতে পারেন যা একটি নির্দিষ্ট জায়গার বা আয়তনে দূষিত বাতাস টেনে নিয়ে পরিষ্কার করে রুমে ছড়ায়,সেগুলো বিভিন্ন কোম্পানি বানায়।

🎉*ট্রান্সপ্লান্ট এর পর স্টেরয়েড বা প্রেডনিসোলোন চলে বা চালাতে হয় যা হাড় বা বন ডিজিজ হওয়ার পসিবিলিটি অনেক বাড়িয়ে দেয় তাই ট্রান্সপ্লান্ট এর নিয়মিত বা বছরে কমপক্ষে একবার বন বা হাড়ের চেকাপ করা জরুরি তাই ব্লাড ক্যালসিয়াম ,ভিটামিন ডি লেভেল টেস্ট করে সে অনুযায়ি ব্যাবস্থা নেওয়া এর সাথে সাথে বন মিনারেল ডেন্সিটি টেস্ট করে দেখা উচিত হাড়গুলোর বর্তমান কি অবস্থা বা ভবিষ্যতে অস্টিওপরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এবং সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া.

বন বা মিনারেল ডিজিজ সম্পর্কে নিচের লিংকটি পড়তে পারেন:-

কিডনি এবং বন মিনারেল ডিজিজ/হাড্ডির রোগ- Kidney and Bone mineral Diseases

🎉*ট্রান্সপ্লান্ট এর পড় ব্লাডপ্রেশার অনেকের ক্ষেত্রেই কমন তাই নিয়মিত চেকাপ/মনিটর এবং বাড়তি থাকলে সে অনুযায়ি ওষুধগ্রহন এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,অসংখ রিসার্চ বলে ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে কিডনি গ্র্যাফ্ট survival কমে যায়।

🎉*ট্রান্সপ্লান্ট পার্সনদের খাবারের ব্যাপারে কিছু রেস্ট্রিকশন্স ছাড়া সব স্বাভাবিক থাকে। কিছু রেস্ট্রিকশন্স এর মূল কারণ হচ্ছে সাধারণ সুস্থ মানুষের কিডনি দুইটাই একটিভ কিন্তু আমাদের একটা এবং তাও অন্যের, তাই চাপ কম ফেলানোই ভালো তাতে ট্রান্সপ্লান্ট কিডনির দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ে বা বেশি হয় । 💢 সত্যি কথা বলতে পোস্ট ট্রান্সপ্লান্টের পর steroid/Tacrolimus/Mycophenolate ইত্যাদি যে ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ড্রাগগুলো খাওয়া হয় সেটা লাইফ সেভিং ড্র্যাগ কিন্তু এই ড্রাগ এর সাইড এফেক্টের কারণে সুগার বেড়ে যায় যেহেতু steroid, Tacrolimus, Mycophenolate etc. প্রথমদিকে ড্র্যাগ বেশি মাত্রায় চলে তাই এই ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ওষুধগুলোর কারণে যার কখনো ডায়াবেটিকস ছিল না বা বাড়তি সুগার ছিলোনা তারও ডায়াবেটিকস হয়ে যায় যাকে ড্র্যাগ induced বা ওষুধের কারণে বেড়ে যাওয়া ডায়াবেটিকস বলে যা হুট্ করে জাম্প করতে পারে তাই সুগার জাতীয় খাবার এ রেস্ট্রিকশন আনা উচিত, আরেকটা কথা আমরা যে কার্বস জাতীয় খাবার খাই যেমন ভাত, রুটি ইত্যাদি এগুলো কিন্তু সুগারেই শেষ পর্যন্ত রূপান্তরিত হয়ে যায় তাই সুগার এর সাথে সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয়ও খাবার কম বা সামান্য খাওয়া উচিত ।

🔆ব্লাড সুগারের ব্যাপারে নিচের লিংকটি পড়তে পারেন :-

https://bkpa.net/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B8-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3/

*আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ইম্মুনোসাপ্রেসিভ বিশেষ করে স্টেরোয়েড/prednisolone এর কারণে লিপিডও বেড়ে যায় তাই চর্বি এবং তৈলাক্ত জাতীয় খাবারের ব্যাপারে সতর্কতা মেনে চলা উচিত বা একেবারে কম খাওয়া উচিত।

🔆 লিপিডের ব্যাপারে নিচের লিংকটি পড়তে পারেন :-

Lipid Profile/লিপিড প্রোফাইল

🎉*প্রোটিন স্বাভাবিক মাত্রায় খাওয়া উচিত ধরুন দুপুরে/রাতে এক পিছ মাঝারি সাইজ এর মাছ বা মাংস যেহেতু কিডনি ফাঙ্কশন স্বাভাবিক হয়ে যায় ট্রান্সপ্লান্টের পর.প্রোটিন এর ক্ষেত্রে চিকেন,মাছ,ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি বেশি প্রাধান্য দিবেন। রেড মিট এবং অর্গান মিট(কলিজা,গুর্দা ইত্যাদি) অল্প বা মাঝে মাঝে অকেশনালী খেতে পারেন যেহেতু রেড মিট এবং অর্গান মিট লিপিড/চর্বি এবং ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায় তাই নিয়মিত খাওয়া কখনো উচিত নয়।

🔆 ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কে জানতে নিচের লিংক পড়ুন :-

https://bkpa.net/uric-acid/

🎉*ট্রান্সপ্লান্ট এরপর আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে হাটা শুরু করবেন যা সময়ের সাথে সাথে বাড়াবেন।

Walk/Exercise

🎉*ওজন স্ট্রীক্টলী মেইনটেইন করবেন ।

ⒸBKPA

Caution:

BKPA is a voluntary social organization whose mission is to raise awareness, promote and share knowledge about kidney disease. BKPA does not provide any kind of medical advice directly or indirectly through social media or any other platform which should only be done by the nephrologist or registered doctor. This is prohibited to take any kind of medical treatment based on the information provided by BKPA.

সতর্কতাঃ

বিকেপিএ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য কিডনি রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি,প্রচার এবং সতর্ক করা। বিকেপিএতে সামাজিক মাধ্যম অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বা সরাসরি প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা বা পরামর্শ প্রদান করা হয় না যা শুধুমাত্র আপনার নেফ্রোলজিস্ট এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এখতিয়ার।বিকেপিএ প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ।